আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ গ্রামে বাস করে। এ জন গোষ্ঠীর একটি ব্যাপক অংশ দরিদ্র, নিরক্ষর এবং তারা আধুনিক বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। সবচেয়ে বড় কথা, এ দরিদ্র জনসাধারনের পক্ষে শহরে গিয়ে দীর্ঘদিন মামলা-মোকদ্দমা চালানো অত্যন্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল ব্যাপার। সুতরাং গ্রাম পর্যায়ে যদি ঝগড়া বিবাদের মিমাংশা বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থাকে, তাহলে তারা অনেক বিড়ম্বনা ও খরচের হাত থেকে রক্ষা পায়। দ্রুত বিচার কার্যের ফলে ঝগড়া বিবাদের তীব্রতা ও ব্যাপকতা বহুলাংশে কমে যায় এবং গ্রামীন সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বর্তমানে বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন সর্ত হচ্ছে গ্রাম আদালত। গ্রামাঞ্চলে কিছু কিছু মামলার নিস্পত্তি এবং তৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজ লব্য করার উদ্দেশ্যে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর আওতায় এ আদালত গঠিত হয় এবং এটি একটি মিমাংসা মূলক আদালত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যেহেতু এলাকার সম্মানীত ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধি সেহেতু তাদের দ্বারা আসল গঠনা সত্যতা যাচাই করে একটি শান্তিপূর্ন সমাধান খুজে বেড় করাই গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য।
গ্রাম আদালতের উদ্দ্যেশ্যঃ
১। কম সময়ে, অল্প খরচে স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট বিরোদ দ্রুত নিষ্পত্তি করা;
২। দরিদ্র, অনগ্রসর, নারী, সুবিধাবঞ্চিত ও ঝুকিপূর্ন জনগোষ্ঠির জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ও বিচার প্রার্থীর সুযোগ নিশ্চিত করা;
৩। বিবদমান পক্ষসমূহের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তি করা;
৪। বিরোধ নিস্পত্তির পর বিরোধীয় পক্ষ সমূহের মধ্যে সৌহার্দপূর্ন সহ অবস্থান সৃষ্টি;
৫। স্থায়ীভাবে বিরোধ নিরসন;
৬। উচ্চ আদালতে মামলার চাপ কমানো; ও
৭। সামাজিক ন্যয্যতা ও সুশাসন সৃষ্টি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস